বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব নবীর আগমনে, সুরভিত পরিবেশে পুলকিত বিশ্ব আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা

যুবকদের আইডল যুবক মুহাম্মদ স.

যুবকদের আইডল যুবক মুহাম্মদ স.

-আব্দুল্লাহ মাহমুদ:

‘যুবক’। তিন বর্ণের একটি শব্দ । জাতি জাগানিয়া একটি শব্দ । উদ্দীপ্তময় একটি শব্দ । দুয়ের অধিক যুবকদের আমরা বলি যুবকরা ! এ যুবকরা দেশের সম্পদ । দশের সম্পদ । বর্তমানের সম্পদ । ভবিষ্যতের সম্পদ । যুবকরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।

একটি সমাজের যুবকরা যদি শুদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে পুরো সমাজটাই ঠিক হয়ে যায় । আর রাষ্ট্রের যুবশক্তি যদি শুদ্ধ হয়ে যায় তাহলে পুরো রাষ্ট্রের কাঠামোই পাল্টে যায় । কারণ, যৌবনদীপ্ত এই মানব কাফেলার উচ্ছল শক্তি, অঙ্গীকার, নির্ভীক পদচারণা আর সাহসী হুংকারে সদা কম্পিত আলোড়িত আর তটস্থ থাকে তার চারপাশ । ফলে রাষ্ট্র তাদের কাজে লাগাতে পারে এবং রাষ্ট্রের কাঠামো হয় মজবুত । শক্ত । সে দেশ এগিয়ে যায় অনেক দূর । সফলতার একেবারে চুড়ায়।

এর বিপরীত দিকও আছে । যদি কোন সমাজ বা রাষ্ট্রের যুবসম্প্রদায় নষ্ট হয়ে যায়, নেশাগ্রস্ত হয়ে যায় এবং চারিত্রিক ও সাংস্কৃতিক অধঃপতনে চলে যায় তখন সে সমাজ ও রাষ্ট্র আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যায় । যা কারোরই কাম্য নয় ।

যুবকরই একটি সত্তা হলো যৌবনকাল । যৌবনকাল হলো মানব জীবনের ভরা বসন্ত । শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত বিস্তীর্ণ জীবন সাহারায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই যৌবনকাল । কারণ, আজকের এ যুবকরাই আগামী দিনের পৃথিবীকে পথ দেখাবে, নেতৃত্ব দিবে এবং শাসন করবে । সুতরাং, সে হিসেবে যুব সম্প্রদায় যেনো বেঁকে না যায়, পথভ্রষ্ট না হয়ে যায়- সে দিকে ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে । যুব শক্তিকে ঢেলে সাজিয়ে ও কাজে লাগিয়ে অহিংস, শান্তি¯œাত, সমৃদ্ধ ও আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে ইসলাম শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে ।

এ বিষয়ে যুবকদের যুব বন্ধু বিশ্বনবী মুহাম্মদ স. যৌবনকে পূর্ণ সতর্কতা, যতœ ও নিষ্ঠার সাথে কাজে লাগানোর আহŸান জানিয়ে পবিত্র হাদীস শরীফে ইরশাদ করেন- ‘তোমরা পাঁচটি জিনিসের পূর্বে অপর পাঁচটি জিনিসকে গনীমত মনে করবে । ১. বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনকে ২. রোগাক্রান্ত হবার পূর্বেই সুস্থতাকে ৩. ¯^াবলম্বিতাকে দারিদ্যের পূর্বে ৪. ব্যস্ততার পূর্বেই অবসরকে এবং ৫. মৃত্যুর পূর্বে এই জীবনকে ।’

হাদীসের বক্তব্য খুবই ¯পষ্ট । মহানবী স. এখানে যে পাঁচটি বিষয়কে গনীমত মনে করতে বলেছেন, বলার অপেক্ষা রাখেনা একজন মানুষের জীবনে পরিপূর্ণ সফলতা লাভের জন্য এই একটি মাত্র হাদীসই যথেষ্ট । বুঝার বিষয় হলো- এ হাদীসে গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামতের চাইতেও অধিক গুরুত্বের সাথে মহানবী স. বিবেচনা করেছেন ‘যৌবন’কে ।

বর্তমান চলছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ । যুবকদের প্রতি শয়তানের চতুর্মুখী আক্রমণ এ যুগে একটু বেশি। আর বেশি বলেই আমাদের যুব সম্প্রদায় বিপদগামী হচ্ছে বেশি । শয়তানের প্ররোচণা যুবকরা গোনায় হাবুডুবু খাচ্ছে । নেশাগ্রস্ত হচ্ছে । মাদকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে । অসভ্য হচ্ছে । পিতামাতার অবাধ্য হচ্ছে । সংসারের সুখ ধ¦ংস করে দিচ্ছে । সুন্দর জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সমাজকেও কলুষিত করছে । তাছাড়া অপসংস্কৃতির নগ্ন থাবাও এ যুবকদের প্রতিই । ফলে অশ্লীলতা, নগ্নতা, বেহায়াপনা, বেলল্লাপনা দিন দিন যুব সম্প্রদায়কে গ্রাস করছে । সর্বোপরি যুব সমাজ ইসলামি তাহযীব তামাদ্দুন ভুলে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি গ্রহন করছে । যা সত্যিই দুঃখজনক ।

এ কলুষিত পথ থেকে কিভাবে বাঁচতে পারে আমাদের যুব সম্প্রদায়, কিভাবে চলতে পারে আলোর পথে ? সেটাই আমাদের ভাবার বিষয় । আমি শুরুতেই বলেছি দেশের যুব সম্প্রদায় শুদ্ধ হয়ে গেলে একটি দেশ তার লক্ষ্যপানে এগিয়ে যায় । ঠিক এ জায়গায় ইসলাম থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে । কারণ ইসলাম সমকালিন যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, একটি আদর্শ সুন্দর সুবিশাল মানব সমাজ গঠনের প্রত্যাশায়- নবী মুহাম¥দ স. এর যুবজীবনকে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে । যে চরিত্রকে পবিত্র কুরআন ‘উসওয়াতুন হাসান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ।
তাছাড়া আমরা মুসলিম যুবক । কালমার্কস, লেনিন বা বিশ্বের নামিদামী কোন ব্যক্তি আমাদের আইডল নন । সর্বক্ষেত্রে আমাদের আইডল হওয়া উচিত যুবকদের যুববন্ধু যুবক মুহাম্মদ স.। বিশ্ব মনীষীগণ এ কথাই স্পষ্ট ভাবে বলছেন ‘ আজকের পৃথিবীতে উ™£ান্ত, আদর্শচ্যুত সকল বিপদগামী যুব সমাজকে সঠিক পথে ফিরে আসতে হলে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে রাহমাতুললিল আলামিন বিশ্বনবী মুহাম্মদ স. এর আলোকময় উসওয়া তথা তাঁর জীবনচরিতকেই ।’ অতএব আমাদের আইডল, আমাদের অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেন- শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ স. ।
সবিশেষ যুবক বন্ধুদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ‘যৌবন’ বসে কাটাবার কিংবা ধ্বংসকর্মে ব্যয় করার সময় নয় । ‘যৌবন’ হলো- নির্মাণের সময় । মহানবী স. তাঁর যুব জীবনকে নির্মাণের কাজে ব্যয়িত করেছেন । যুব জীবনে তিনি সামাজিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত ছিলেন এবং ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন । আমাদেরও উচিত আমাদের যুব জীবনকে মহানবী স. ও তাঁর সাহাবীদের মতো গড়ে তোলা ।

লেখক:আব্দুল্লাহ মাহমুদ
তরুণ আলেম,
শিক্ষানবিশ- এম.এ ইসলামিক ষ্টাডিজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ।


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com